Monday, December 23, 2024
SIDDIQ-E-AKBAR (RA.) INSTITUTESIDDIQ-E-AKBAR (RA.) INSTITUTE
SIDDIQ-E-AKBAR (RA.) INSTITUTE
পরিচালক

মোঃ রফিকুল ইসলাম ( প্রিন্সিপাল )

  • যোগদান:March 19, 2018
  • রক্তের গ্রুপ:A+
  • যোগ্যতা:বি.কম.(অনার্স) এম.কম,বি.এড.
  • ফোন নম্বর: 01711-110882
  • ইমেইল:principle@searinstitute.com
  • ঠিকানা:Sadar Road, Bhola - 8300
  • Person 02 Biography

    InfoEdu is a user-friendly WordPress education theme designed for schools, madrasahs, colleges, and other educational institutions. It combines useful features and a great look making your education website informative and attractive. This custom-built WordPress education theme is made for optimal performance, ensuring a fast and seamless user experience. With a clear and easy-to-use design, InfoEdu meets the diverse needs of educational organizations. It offers a variety of tools to improve communication, showcase content, and simplify administrative tasks.

    প্রিন্সিপালের বাণী

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

    পৃথিবীর সৃষ্টি মানব জাতির মানবিক পরিবেশে বাস করার জন্য এবং মানুষ সৃষ্টি সৃষ্টিকর্তার দিকে ফিরে যাওয়ার জন্য। বাহ্যিকভাবে মানুষ মানেই প্রাণি, কিন্তু পশু নয়। মানবিক মূল্যবোধ থাকার কারণে মানুষকে শুধু প্রাণী বা পশু বলা যায় না। তাই মানবিক মূল্যবোধ তৈরী করতে শিক্ষার প্রয়োজন। দ্বীন শিক্ষা মানুষকে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শিক্ষা দেয়, ভূল ব্যাখ্যা বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে। প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের জন্যই প্রয়োজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যদিও আমাদের শিক্ষা অর্জনের পরিবেশে একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় যে, “অর্জন যাই হোক, ফলাফল ভালো চাই”। এই প্রবণতা শিক্ষার প্রান্তিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নে অমনোযোগী হয়ে উঠে, অর্জন ব্যহত হয়, মানবিক মূল্যবোধ হ্রাস পেতে থাকে। ফলে পৃথিবীতে মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে বাস করা ধীরে ধীরে অসম্ভব হয়ে পড়বে।

    আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জনের প্রান্তিক লক্ষ্য মাত্রা সামনে রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ অন্যতম। শিক্ষক নিয়োগে অভিজ্ঞতা নয়,যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এজন্য ডেমো ক্লাশ হিসেবে ১/২সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। শিক্ষকগণের পাঠদান বাস্তবমুখী হওয়ার জন্য নতুন শিক্ষাক্রম ভিত্তিক “পাঠ পরিকল্পনা” তৈরী করা হয়। শিক্ষকের কর্মদক্ষতা সচল রাখার জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন, প্রতি শ্রেণির জন্য একজন শেণি শিক্ষক নির্ধারণ। ২/৩টি শ্রেণি নিয়ে একটি ইউনিট তৈরী করা হয়েছে। প্রতি ইউনিটের জন্য একজন অভিজ্ঞ শিক্ষককে Coordinator হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১ মাস অন্তর (প্রতি মাসে) ঈড়ড়ৎফরহধঃড়ৎ ও শিফর্ট ইনচার্জগণ সমন্বয়ের জন্য মিটিং করবেন। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ২ মাস অন্তর শিক্ষক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়।

    শিক্ষা অর্জনের জন্য মূল প্রাথী হচ্ছে শিক্ষার্থী। শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে অধ্যয়ন মনোযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীর অধ্যয়ন মনোযোগীতা সৃষ্টির জন্য মনন ও সৃজনশীল কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন প্রাথমিক শাখায় অংকন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, হস্তশিল্প বা হাতের কাজ, সৌজন্যমূলক কাজে শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ, এছাড়া অংকন ভিত্তিক পাঠদান, ছন্দ ভিত্তিক মুখস্থ পাঠদান, শিক্ষক বেশে বোর্ড লিখন ইত্যাদি এবং হাইস্কুল শাখায় প্রতিযোগিতামূলক সৃজনশীল সেমিনার, অ্যাসাইনমেন্ট তৈরী, গুচ্ছ বা দলভিত্তিক পাঠের সমস্যা সমাধান, শিক্ষক বেশে বোর্ড লিখন ইত্যাদি।

    বিনোদনের জন্য রয়েছে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, বার্ষিক ফুটবল টুর্ণামেন্ট, বার্ষিক ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, বার্ষিক পিকনিক ও শিক্ষা সফর। ইনডোর বিনোদনের জন্য প্রাথমিক শাখার জন্য বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী ও হাইস্কুল শাখার জন্য পাঠ ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও সেমিনার, পুরুস্কার বিতরণ ও শ্রেণি ভিত্তিক প্রীতিভোজের আয়োজন।

    অধ্যয়ন অভ্যস্ততা তৈরীর জন্য নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকা জরুরী। এজন্য উপস্থিতির সংখ্যা ভিত্তিক নম্বর প্রদান করা হয়। শিক্ষাথীর ছুটির প্রয়োজন হলে, অভিভাবকের উপস্থিত হয়ে ছুটি নেওয়া বাধ্যতামূলক। অনুপস্থিত থাকলে স্কুলের বিধিমোতাবেক দরখাস্ত নিয়ে আসতে হবে। স্কুল উপস্থিতি অর্থাৎ আগমন - প্রস্থান সংরক্ষণের জন্য পাঞ্চ মেশিনের মাধ্যমে কার্ড পাঞ্চ সিস্টেম এবং শিক্ষকের জন্য ফিঙ্গার পাঞ্চ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পাঞ্চ মেশিনে পাঞ্চ করার সাথে সাথে অভিভাবকের মোবাইলে মেসেজ যাবে। হাইস্কুল শাখায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ছুটির সময় শিক্ষার্থীর ডায়েরীতে‘‘উপস্থিতি সীল‘‘দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    এছাড়া মেধা সম্পন্ন ও দূর্বল মেধা শিক্ষার্থীর ব্যাপারে পৃথক পদক্ষেপ গ্রহণ, দূর্বল ও অমনোযোগী শিক্ষার্থীর জন্য ডে-কেয়ার সিস্টেম,জেনারেটরের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বৈদ্যুতিক সুবিধা, দূরের শিক্ষার্থীর জন্য ও যাতায়াতে অসুবিধা শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা, পাঠদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত, গেইটে সার্বক্ষণিক দারোয়ান নিযুক্ত, নির্দিষ্ট অভিভাবক ছাড়া শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎ বা বের হওয়া নিষিদ্ধ, ক্লাশ শুরুর ঘন্টা পরার পর স্কুল ক্যাম্পাসে সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ। প্রতিদিন ক্লাশ শুরুতে এসেম্বলি করা, গৃহ অধ্যয়ন তদারকের জন্য হোম ভিজিট সিস্টেম, ইত্যাদি কার্যক্রম সচল রয়েছে। মানবিক, নৈতিকতা ও দেশপ্রেম তৈরী এবং সন্ত্রাস বিরোধী মানসিকতার জন্য উৎসাহমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়। নামাজ পড়ানো বা পড়ার উৎসাহদান যা মানুষকে বিনয় ও ভদ্র হতে সহায়তা করে।

    সর্বশেষ, একটি কথা বলার প্রয়োজন যে, শিক্ষার্থীর উৎকর্ষ অর্জন শিক্ষকের আন্তরিক পাঠদানের সাথে সম্পৃক্ত। তাই, অনেক কিছু দিতে না পারলেও আন্তরিক চেষ্টা আমাদের প্রতিষ্ঠানের মূল বৈশিষ্ট্য হিসেবে শিক্ষা ক্ষেত্রকে আলোকিত করবে। ইনশা‘আল্লাহ।

    হোয়াটসাঅ্যাপ চ্যাট
    মেসেঞ্জার চ্যাট